হাঁড় কাঁপানো শীতে বাংলাদেশে দুইজনের মৃত্যু !

বাংলাদেশে হাঁড় কাঁপানো শীতে নাটোরের বড়াইগ্রাম ও লালপুর উপজেলায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে শীতজনিত কিছু রোগ বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও সর্দি-কাশি অন্যতম। যাদের ক্রনিক হাঁপানি রোগ রয়েছে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ।
চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়েছেন, এই শীতে যতটুকু পারা যায় নিজেকের উষ্ণতার মধ্যে রাখা দরকার। বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধ ও যাদের হাঁপানি রয়েছে তাদের সবকিছু গরম গরম খেতে হবে। ঠাণ্ডা পানিও পান করা উচিৎ না। গোসল করতে হলে গরম পানি ব্যবহার করলে ভালো থাকবেন তারা।
শীতের কারণে ঢাকার খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী ছিন্নমূল মানুষেরা রাতে আরামে ঘুমাতে পারে না। ফলে একটু উষ্ণতার জন্য এরা সারারাত নানা কিছু দিয়ে আগুন জ্বেলে রাতটি কাটিয়ে দেয়। তাছাড়া বস্তিবাসীদেরও কষ্টের শেষ থাকে না। কারণ তারা যে ধরনের ঘরে বাস করে সেখানে রাতের বেলা প্রচণ্ড বেগে ঠাণ্ডা বায়ু ঢুকে যায়। ঢাকার রাস্তায় মানুষ না ঘুমিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রাত কাটাচ্ছে এই দৃশ্য নিত্যদিনের।
গতকাল দেশের অধিকাংশ স্থানে সূর্যের দেখা মিলেনি। ফলে দিনের বেলা তাপমাত্রার উন্নতি হয়নি বলে মানুষের মধ্যে শীতের তীব্র অনুভূতি ছিল। আজো সারা দেশে থাকতে পারে কুয়াশা। ফলে আজ সারাদিনই সূর্যের দেখা নাও মিলতে পারে। তদুপরি রংপুর বিভাগসহ রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, নওগাঁ ও কুষ্টিয়া জেলায় চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আবার উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। এসব কারণে সারাদেশেই বিরাজ করছে প্রচণ্ড শীত।
আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাত শেষ হয়ে গেলেও পরের এক সপ্তাহ সারা দেশ আবারো কুয়াশার চাদরে ঢেকে যেতে পারে। তখন আবার বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। গতকাল দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।