ওসমানী হাসপাতালে রোগীর স্বজন-দর্শনার্থীদের জন্য পাস কার্ড চালু

ওসমানী হাসপাতালে রোগীর স্বজন-দর্শনার্থীদের জন্য পাস কার্ড চালু

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল, চোর ও প্রতারক চক্র ঠেকাতে পাস কার্ড (পরিচর্যাকারী প্রবেশপত্র) ব্যবস্থা চালু করেছেন কর্তৃপক্ষ। ফেরতযোগ্য ১৫০ টাকা দিয়ে সেই পার্স কার্ড ভর্তি রোগীর স্বজনকে হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
 
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালে দর্শনার্থী কার্ড চালু করা হয়েছে। এর আগে কয়েক মাস থেকে বিষয়টি প্রচারের লক্ষ্যে ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিলেটের সাংবাদিক ও সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ব্যানার-ফেস্টুনের টানানোসহ নানামুখী প্রচার-প্রচারণা চালান।
 
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, দর্শনার্থী পরিচয়ে ওসমানীতে বিপুল সংখ্যক দালাল, চোর ও প্রতারকচক্র হাসপাতালে প্রবেশ করে। গ্রাম হতে আসা সহজ-সরল ও গরিব রোগীসাধারণ তাদের টার্গেটে পরিণত হয় এবং প্রতারিত হয়। তাই মানসম্মত ও নিরাপদ চিকিৎসা প্রদান করতে হলে রোগীর সাথে আগত দর্শনার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। তাই এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
 
ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, হাসপাতালে ভর্তি রোগী, তাদের স্বজন, বহির্বিভাগে আসা রোগীসহ স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৭ হাজার লোকের আগমন ঘটে। এতে করে সীমিত জনবল দিয়ে হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখা প্রশাসনের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। তাই দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছিলো।
 
এ বিষয়ে ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভুইয়া বুধবার  বলেন- গত ২৬ মার্চ থেকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছি। এর ফলে ইতোমধ্যে হাসপাতাল ঘিরে দালাল ও প্রতারক চক্রের সদস্যদের আনাগোনা অনেক কমে গেছে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। লোকজন এতে পুরোপুরি অভ্যস্থ হয়ে গেলে আশা করছি দালাল ও প্রতারক চক্রের দৌরাত্ম্য একেবারেই কমে যাবে।

উল্লেখ্য, ওসমানী হাসপাতালে শীতকাল অর্থাৎ- ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন। আর গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ- ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থী প্রবেশের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।