বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল বাংলা টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ এর রজত জয়ন্তী উদযাপন

বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল বাংলা টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ এর রজত জয়ন্তী উদযাপন

বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল বাংলা টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ পঁচিশ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করলো ‘রজত জয়ন্তী’ । পথ চলার ২৪ বছর পূর্ণ করে ১ অক্টোবর থেকে ২৫ বছরের পথচলা শুরু করলো ‘চ্যানেল আই’। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে চ্যানেল আই।

চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে কেক কাটায় সমাজের বরেণ্যজন এবং শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফরিদুর রেজা সাগর, শাইখ সিরাজ, মুকিত মজুমদার বাবু ও জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন।

চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদের ৭ সদস্যের পক্ষ থেকে দর্শকশ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। ২৪ বছরের মতো আগামীর দিনগুলোতে সারা পৃথিবীর কোটি কোটি বাঙালির সৃজনশীল কাজের সাথে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন তারা।

‘চ্যানেল আই’ ২৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। যুক্তরাজ্য সফররত প্রধানমন্ত্রী তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’ ২৫ বছরে পদার্পণ করছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি চ্যানেলটির পরিচালনা পর্ষদ, সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমি আশা করি, আমাদের এই লক্ষ্য অর্জনে এবং গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ‘চ্যানেল আই’ আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আমি ‘চ্যানেল আই’ এর ২৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য এবং চ্যানেলটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। চ্যানেল আইকে পাঠানো এক শুভেচ্ছাবার্তায় জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘চ্যানেল আই ২৫তম জন্মদিন পালন করতে যাচ্ছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত। চ্যানেল আইকে আমার উষ্ণ অভিনন্দন। বহু সংস্কৃতির দেশ কানাডায় বৈচিত্র্যতা সবচেয়ে বড় শক্তি। এই বৈচিত্র্যময় কানাডা তৈরিতে বাংলাদেশি কানাডিয়ানরা প্রতিদিন যে অবদান রাখছেন, তা অমূল্য। এর মাধ্যমে আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সেই সুযোগও নিতে চাই।’

চ্যানেলটির কর্ণধার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, সত্যিই জানতাম না সেদিন যে, ২৫ বছরে একটি চ্যানেলকে মানুষ এত ভালোবাসবে। আমাদের স্বপ্নের পরিধি এতটা ছিল না। যা পেয়েছি অনেক! ভাবনারও অতীত! তিনি বলেন, চ্যানেল আই আজ এদেশের সৃজনশীল মানুষদের একটি পরিবার। শুধু বলতে পারি, এই ২৫ বছরে সারাবিশ্বের বাঙালিদের কাছে প্রিয় নামে পৌঁছাতে পেরেছে। আমরা সময়ের সাথে সাথে আধুনিক হয়েছি। কিন্তু দর্শকের হূদয় থেকে বের হইনি। আমরা রোজ সকালে এই চ্যানেলের দরজায় ঢুকি কোনো অফিসের বস হিসেবে নয়। একজন সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবেই। তাই এটি আমার চ্যানেল না। আমাদের চ্যানেল হয়েছে।

চ্যানেল আই’র পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, ‘গত ২৪টি বছর বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে এই চ্যানেলটি ছিল। চব্বিশ পর পরে চ্যানেল আইয়ের দর্শক বেড়েছে। দর্শকের দৃষ্টি এখনও চ্যানেল আইতেই আছে।’

ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন বলেন, বাংলাদেশের রঙ লাল-সবুজ। চ্যানেল আইয়ের উচ্ছ্বাস, উৎসাহ শক্তি লাল সবুজে। তাই চ্যানেল আইয়ের সিগনেচার টিউনে বলা হয়, সবার চেয়ে দেশ বড়। আমরা প্রতিটি অনুষ্ঠানেই দেশকে বড় করে দেখছি। আমরা আপনাদেরকে আমাদের আপন মানুষ হিসেবে দেখতে চাই আগামী দিনগুলোতে।

বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, প্রকৃতিপ্রেমী এবং ইমপ্রেস গ্রুপের পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ২৪ বছর আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি বলেই এই পর্যন্ত এসেছি। বাকি সময়টা ভালোবাসা যেন আরও বেড়ে যায়, আরো সামনে এগিয়ে যেতে পারি এই প্রত্যাশা রইলো।