শাহজালাল মাজার কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন

সিলেটে আল্লামা মুহিবুল হক গাছবাড়ী হুজুরের জানাযায় লাখো মানুষের ঢল

সিলেটে আল্লামা মুহিবুল হক গাছবাড়ী হুজুরের জানাযায় লাখো মানুষের ঢল

সিলেটের বরেণ্য আলেম, ইসলামী আলোচক, প্রবীণ শিক্ষক ও শায়খুল হাদিস আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঐহিতাসিক শাহী ঈদগাহে জানাযা শেষে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

আজ বেলা আড়াইটায় নগরের শাহী ঈদগাহ ময়দানে বিপুল সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতিতে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজে ইমামতি করেন তার বড় ছেলে, দরগাহ মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা এনামুল হক জুনাইদ।

জানাযার নামাজে লাখো মানুষের ঢল নামে। নামজে ঈদগাহ ময়দানে জায়গা না হওয়ায় আশপাশের রাস্তাগুলো বন্ধ করে জানাযার নামাজ আদায় করেন লাখো মানুষ। 

আল্লামা মুহিব্বুল হক সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বওমি মাদরাসা ‘জামেয়া ক্বাসিমুল উলুম দরগাহ’র মুহতামিম, বাংলাদেশ উলামা পরিষদের সভাপতি, আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন।

বুধবার (১৭ মে) মাগরিবের নামাজের পর তিনি দরগাহ মাদরাসায় তার নিজ বিশ্রামকক্ষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে মুফতি মুহিব্বুল হকের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, চার মেয়ে ও ছাত্র-শিক্ষক-মুরিদানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ দেখার জন্য মরদেহ দরগাহ মাদরাসায় নেয়া হয়। দুপুর ১২ টায় শাহী ঈদগাহে নেয়া হয় তার মরদেহ। ঈদগাহ ময়দান ছাড়িয়ে আশাপাশের রোডেও মুসল্লিদের জায়গা হয়নি। অনেকেই বাসার ছাদে উঠে নামাজে অংশ নিতে দেখা গেছে। 

প্রবীন এই আলেমের মৃত্যুতে তার হাজার হাজার শিক্ষার্থী শুভাকাঙ্খি ও ধর্মপ্রাণ মানুষজন দুর থেকে জানাযায় অংশ নিয়েছেন। শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের জানাযায় মাদরাসার ছাত্ররা ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নিয়েছেন।