৬ষ্ঠ ওয়ানডেতেই নাসিমের বিশ্বরেকর্ড

৬ষ্ঠ ওয়ানডেতেই নাসিমের বিশ্বরেকর্ড

টি-টোয়েন্টি সিরিজ হাতছাড়া করে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। সাবেক ক্রিকেটারদের এমন তোপের মুখে বাবর আজমের দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেছে।

এদিন প্রথমে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ২৮৮ রান সংগ্রহ করেছে সফরকারী কিউইরা। তবে এর জন্য কৃতিত্বের অন্যতম দাবিদার পেসার নাসিম শাহ। কেননা তার আঁটোসাটো বোলিংয়ে তিনশ’র আগে কিউইদের বেধে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এদিন মাত্র ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নামা নাসিম একটি রেকর্ডও করে ফেলেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। সাধারণ মানের বোলিং মনে হলেও, ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে নাসিম শাহের বোলিং বেশ কার্যকরী ছিল। কেননা পিচটিতে দলের অন্য বোলারদের বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে।

নির্ধারিত ১০ ওভারে তিনি মাত্র ২৯ রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নেন। ম্যাচের শুরু থেকেই নাসিম বেশ ভালো জায়গায় বল ফেলছিলেন। তবে প্রথম স্পেলে তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য। শেষদিকে পরপর দুটি উইকেট পান তিনি। ইন সুইং ও আউট সুইংয়ে নাসিম কিউই ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন।

এর আগে ওয়ানডেতে ৬ ম্যাচ শেষে সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট পেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি। তবে তার সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন নাসিম। চলমান ষষ্ঠ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ২০টি। কিউইদের বিপক্ষে এই ম্যাচে ২.৯০ গড়ে রান দেওয়া নাসিম ছাড়া বাকি সব বোলারই ওভারপ্রতি পাঁচের বেশি রান দিয়েছেন।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ ব্যাট করছিলেন কিউই ওপেনাররা। ওপেনিং জুটি ভাঙার তাদের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ রান। চাঁদ বোয়েস ১৮ রানে ফিরে গেলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রাখেন উইল ইয়ং। ওয়ানডেতে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেওয়ার ম্যাচে ইয়ং থামেন ৮৬ রানে। তার আগে তিনি ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে শতাধিক রানের জুটি গড়েন।

অলরাউন্ডার মিচেল ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ব্যক্তিগত শতকের দেখা পেয়েছেন। ১১৫ বলের ইনিংসে তিনি ১১ চার ও এক ছক্কায় করেন ১১৩ রান। এছাড়া বলতে গেলে আর কোনো ব্যাটারই উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। তবে মিচেল ও ইয়ংয়ের দারুণ বোঝপড়ায় তারা লড়াইয়ের মতো সংগ্রহ পেয়ে যায়। যদিও ব্যাটিং পিচটিতে পাকিস্তানকে আটকে রাখতে তাদের ২৮৮ রানের পুঁজি কতটা যথেষ্ট হবে সেটি ম্যাচ শেষেই জানা যাবে!

পাকিস্তানের হয়ে নাসিম, শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফ পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। শাদাব খান একটি উইকেট নেন।