গাজায় আমেরিকার দেয়া ৪ ঘন্টার যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা নাকচ করে দিল ইসরাইল !
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) গাজায় দৈনিক ৪ ঘন্টা করে যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর পরই তা নাকচ করে দিলো দখলদার ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেনজামিন নেতানিয়াহু।
‘টাইমস অব ইসরাইল’ জানিয়েছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে। হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি দেয়া হবে না।’ আমেরিকার এ সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধবিরতি হিসেবে দেখার সুযোগ নেই’ বলে বিষয়টি পরিষ্কার করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
নেতানিয়াহু আমেরিকার যুদ্ধ বিরতির এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, হামাসকে বিশ্বাস করা যায় না। তারা হয়তো বেশি বন্দী মুক্তি দেবে না। তাছাড়া একবার যুদ্ধবিরতি হলে আবার আক্রমণ শুরু করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ তখন আন্তর্জাতিক চাপও থাকবে অনেক বেশি।
এদিকে, একই দিন অর্থাৎ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি এক বিবৃতিতে বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বিরতি শুরুর তিন ঘণ্টা আগে এই বিষয়ে প্রত্যেক দিন ঘোষণা দেয়া হবে।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি ঘোষণায় আরো বলেছিলেন, উত্তর গাজা থেকে লোকদের সরে যাওয়ার জন্য দুটি ‘মানবিক করিডোর’ থাকবে এবং ইসরাইলিরা আমাদের বলেছেন যে, বিরতির সময় গাজার উত্তরাঞ্চলে কোনো সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে না এবং এই প্রক্রিয়াটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে।
কিন্তু নেতানিয়াহুর এ ঘোষণায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ায় আমেরিকার প্রস্তাবটি ভেস্তে গেল।
উল্লেখ্য, দখলদার ইসরায়েলি হামলায় স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনির নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৬৯ জনে, যাদের মধ্যে কমপক্ষে চার হাজার ৩২৪ জন শিশু ও দুই হাজার ৮২৩ জন নারী।
হামাসের হাতে প্রায় ২৪০ জন বন্দী রয়েছে। তবে ইসরাইলের হিসাব অনুযায়ী, হামাসের হাতে বর্তমানে প্রায় ১৮০ জন বন্দী আছে। ইসলামিক জিহাদের হাতে আছে প্রায় ৪০ জন বন্দী। এছাড়া সশস্ত্র আরো কয়েকটি পরিবারের হাতে আরো ২০ জন বন্দী রয়েছে। একাধিক গ্রুপের কাছে বন্দী থাকায় আলোচনায় জটিলতা হচ্ছে বলে ইসরাইল মনে করছে।
সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি, টাইমস অব ইসরাইল