সুবচন নির্বাচনে
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন এলেই জাতীয় জীবনে এক ধরনের উৎসবের ভাব পরিলক্ষিত হয়। আসছে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। টিভি নিউজ, ইউটিউভ চ্যানেলে নানাজনের নানা আলোচনা আর অনলাইন পত্রিকার সুবাধে দেখা যাচ্ছে নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচনী ঢেউ সাগর, মহাসাগর পেরিয়ে আছড়ে পড়ছে সুদূর বিলাতেও । শুধু তাই নয় বরং বিলাত তথা বাংলাদেশি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডন থেকে বেশ কয়েকজন ‘লন্ডনী প্রার্থী’ বরাবরের মতো এমপি পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। আবার তাঁদেরকে নির্বাচনী প্রচার কাজে সহায়তা করার জন্য নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য, কাজকর্ম ফেলে বিলাত থেকে ছুটে যাচ্ছেন শত শত শুভানুধ্যায়ীগন। বিলাতেও নিত্যদিনের চায়ের কাপে, বন্ধু-বান্ধবের আড্ডায় নিয়মিত ঝড় উঠছে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ।
বাংলাদেশের এবারের নির্বাচন বেশ ব্যতিক্রমধর্মী। কারণ এবারই তিনবারের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিপক্ষে প্রায় সবাই আওয়ামীলীগ প্রতিদ্বন্দিতা করছে। এবার দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। সাথে আছে তাদের মিত্র প্রায় আরও তিন ডজন দল। এদিকে আওয়ামী লীগও বিভিন্নভাবে তাদের সমর্থিত প্রায় তিনডজন রাজনৈতিক দল নিয়ে মহাসমারোহে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে।
আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই দেশের প্রতিটি এলাকায় চলছে রাজনৈতিক মিটিং, প্রচারণা। সেইসাথে চলছে নেতা-কর্মিদের দলাদলি, ঠেলাঠেলি, আবার কোথাও কোথাও হানাহানি, প্রার্থীদের নিয়ে টানাটানি। আবার কোন কোন প্রার্থী, অপর প্রার্থীকে কথায় কথায় করছেন নাজেহাল। একে অন্যের বিপক্ষে বলে মেটাচ্ছেন মনের ঝাল। তাদের এসব নির্বাচনী সুবচন নিয়ে আমাদের এ ধারাবাহিক প্রতিবেদনধর্মী খবরাখবর।
‘সুবচন নির্বাচনে’ শিরোনামের এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে অন্তত আগামী ৭ জানুয়ারির্ পর্যন্ত। পাঠকের সাড়া পেলে আরও বর্ধিত হতে পারে।
জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না তা সময়ই বলে দেবে: গো.মো: কাদের
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না তা সময়ই বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান গো. মো. (গোলাম মোহাম্মদ) কাদের। গো.মো: কাদের বলেন, “নির্বাচন না আসা পর্যন্ত সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কি না সেটা সময়ই বলে দেবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।”
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রংপুর নগরীর কাচারি বাজার কোর্ট এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
গো.মো. কাদের আরও বলেন, “অনেক সময় অনেক প্রার্থী নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকেন না, কেউ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ করেন, আবার কেউ ঘোষণা করেন না। কেউ এমনিতেই বসে যান। পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে আমার একটা নির্দেশ আছে, যারা নির্বাচন করতে চান, করতে পারেন। নির্বাচন করতে না চাইলে সেটিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।”