চুলের সমস্যায় যে সাতটি খাবার এড়িয়ে চলবেন ?
চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে মন খারাপ না হয় কার! এই সমস্যার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন- জেনেটিক্স, স্ট্রেস, হরমোন ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি। তবে দৈনন্দিনের খাবার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ চুল পড়া কমাতে পারে। আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা চুলের স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
সেসব খাবার খাওয়ার ফলে আপনার চুল পড়া বাড়তে পারে। তাই এই ধরনের খাবারগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক, চুল পড়া কমাতে যে ৭ খাবার এড়িয়ে চলবেন-
চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার
অনেক বেশি চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণের ফলে শরীরে প্রদাহ হতে পারে, যা চুলের বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চিনি এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে। এটিও চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ।
ভাজা এবং তৈলাক্ত খাবার
ভাজা এবং তৈলাক্ত খাবার চুলের ফলিকলকে আটকে দেয়, যার ফলে চুল সঠিকভাবে বাড়তে পারে না। এসব খাবার সিবামের উৎপাদন বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে, যার ফলে চুল এবং মাথার ত্বক তৈলাক্ত হতে পারে, যা চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল সেবন শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে পারে, যার ফলে চুল শুষ্ক এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। এটি প্রয়োজনীয় পুষ্টির শোষণকেও প্রভাবিত করতে পারে, যা স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। তাই অ্যালকোহল এড়িয়ে চলাই ভালো।
ক্যাফেইন
যদিও পরিমিত ক্যাফেইন ক্ষতিকারক নয়, তবে এর অত্যধিক সেবনে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। যা চুলের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ক্যাফেইন আয়রন এবং দস্তার মতো খনিজের শোষণকেও প্রভাবিত করতে পারে, যা স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। তাই অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ না করাই ভালো।
দুগ্ধজাত পণ্য
দুধ এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার চুল পড়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে, বিশেষত যারা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বা দুগ্ধের প্রতি সংবেদনশীল তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বাড়তে পারে। এসব খাবার শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে চুল পড়ে যেতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
উচ্চ-সোডিয়াম যুক্ত খাবার
সোডিয়াম যুক্ত খাবার চুলের ফলিকলের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। সোডিয়ামের অত্যধিক সেবন ডিহাইড্রেশনও হতে পারে, যার ফলে চুল শুষ্ক এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই উচ্চ-সোডিয়াম যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
উচ্চ-পারদ যুক্ত মাছ
সোর্ডফিশ, কিং ম্যাকেরেল এবং টুনার মতো মাছে পারদ বেশি থাকে, যা শরীরের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। পারদ সেলেনিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির শোষণে বাধা দেয়, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই ধরনের মাছ না খাওয়াই ভালো।
ও মাই হেলথ অবলম্বনে