ইমরান খানের ১৪ দিনের রিমান্ড চাইবে এনএবি
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে আজ বুধবার (১০ মে) আদালতে পেশ করা হবে। এসময় আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
এতে করে সম্ভবত চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য এনএবি হেফাজতে থাকতে হতে পারে ইমরানকে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সম্ভবত চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য এনএবি হেফাজতে থাকতে হতে পারে। কারণ আইনে অনুমোদিত সর্বোচ্চ রিমান্ডের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানাবে সংস্থাটি।
এনএবির একটি সূত্র মঙ্গলবার ডনকে জানিয়েছে, ইমরান খানকে আজ (বুধবার) জবাবদিহি আদালতে পেশ করা হবে। ওই সূত্রটি বলেছে, ‘আমরা তাকে (ইমরান খানকে) কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
১৯৯৯ সালের সংশোধিত ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অর্ডিন্যান্স-এর বিধিতে আদালতের মাধ্যমে প্রদত্ত শারীরিক রিমান্ডের সময়কাল ৯০ দিন থেকে কমিয়ে ১৪ দিন করা হয়েছে। ওই সূত্রটি জানায়, ‘আমরা আদালত থেকে সর্বোচ্চ ১৪ দিনের শারীরিক রিমান্ড চাইব। আদালত কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
গ্রেপ্তারের পর পিটিআই প্রধানের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সূত্রটি জানায়, ইমরান খানকে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) রাওয়ালপিন্ডি/ইসলামাবাদ আঞ্চলিক সদর দপ্তরে ‘আরামদায়ক পরিবেশে’ আটক রাখা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, ইমরান খানের সাথে ‘কঠোর কোনও আচরণ’ করা হবে না এবং সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কেবল মামলায় তার কথিত সংশ্লিষ্টতা এবং আর্থিক সুবিধা চাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে অফিসিয়াল এক বিবৃতিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলার বিবরণও প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো।
এর আগে বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে থেকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) ওয়ারেন্টে পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স তাকে গ্রেপ্তার করে।