চবিতে ভর্তিযুদ্ধ সম্পন্ন, প্রতি আসনে লড়ছেন ৪১ জন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্নাতক (সম্মান) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) বেলা ১১টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা।
এবছর আবেদনকারী দুই লাখ ৫৬ জন। আসন রয়েছে চার হাজার ৯২৬টি। সে হিসেবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ৪১ জন ভর্তিচ্ছু।
‘এ’ ইউনিটে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৪ হাজার ৬৫৯ জন। প্রথমদিন ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দুই শিফটে ১৮ হাজার ৬৬৫ জন করে মোট ৩৭ হাজার ৩৩০ জন অংশ নিচ্ছেন। দ্বিতীয় দিনে (১৭ মে) পরীক্ষা দেবেন ৩৭ হাজার ৩২৯ জন। তারাও সমান দুই ভাগে বিভক্ত থাকছেন সকাল ও বিকেলের শিফটে।
১৮ ও ১৯ মে ‘বি’ ইউনিট, ২০ ও ২১ মে ‘সি’ ইউনিট এবং ২২ ও ২৩ মে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে। এছাড়া ২৪ মে ‘বি-১’ উপ-ইউনিট ও ২৫ মে ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিবছরের মতো এবারও বহুনির্বাচনি পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ১২০ নম্বরের পরীক্ষায় পাস নম্বর নম্বর ৪০। ১০০ নম্বর বহুনির্বাচনি এবং ২০ মার্ক যোগ হবে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ থেকে। প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। তবে দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছুদের মোট নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে নম্বর হিসাব করা হবে।
প্রশাসনের প্রস্তুতি
ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যাতায়াতের সুবিধার জন্য শাটল ট্রেনের শিডিউল বাড়ানো হয়েছে।অভিভাবকদের জন্য ছাত্রী হল এবং চাকসু কেন্দ্র উন্মুক্ত করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা। নকল, জালিয়াতি, র্যাগিংসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সচেষ্ট থাকবেন গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ সদস্যরা।
প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত আছি। আমাদের হেল্প ডেস্ক থাকবে। সহকারী প্রক্টররা মাঠে থাকবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। অভিভাবকদের জন্য অনেকগুলো অস্থায়ী শৌচাগারের ব্যাবস্থা করা বয়েছে। দোকানে যেন অতিরিক্ত দাম না নিতে পারে সেজন্য খাবারের মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পাসে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় ‘পথ নির্দেশক ম্যাপ’ তৈরি করা হয়েছে। ম্যাপটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বরে স্থাপন করা হয়েছে। ম্যাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার কেন্দ্র, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিভিন্ন আবাসিক হল, প্রার্থনাস্থল, এটিএম বুথ, ডাকঘর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে স্থাপিত সুপেয় পানির ব্যবস্থা, অস্থায়ী শৌচাগার, চিকিৎসা কেন্দ্র, অস্থায়ী গাড়ি পার্কিং, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান এবং ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও ক্যাম্পাস ত্যাগের জন্য নির্ধারিত রাস্তার দিক নির্দেশনা সহজবোধ্য উপায়ে তুলে ধরা হয়েছে।