পূরণ করতে মায়ের আশা, সাত স্ত্রী নিয়ে গড়েছেন বাসা !

পূরণ করতে মায়ের আশা, সাত স্ত্রী নিয়ে গড়েছেন বাসা  !

বিচিত্র খবর ডেস্ক :  পূরণ করতে মায়ের আশা, সাত স্ত্রী নিয়ে গড়েছেন বাসা ! বাড়ি তার কুষ্টিয়া সদর। সাত বিয়ের কারণে এলাকাবাসীর পাচ্ছেন কদর। সব স্ত্রী একই সাথে থাকেন একই বাড়ি। এই নিয়ে স্ত্রীদের নেই ঝগড়া, নেই বাড়াবাড়ি। মনে হয় তারা যেনো সাত সাতটি বোন। পাড়া-প্রতিবেশিদের সবাই যুগিয়ে চলেন মন। একজন স্বামীই সাতজনের ভালবাসার ধন। এ নিয়ে সাতজনের খারাপ হয় না মন। সাত স্ত্রীর স্বামীর নাম তার রবিজুল ইসলাম। অবশ্য একসাথে সাত বিবি, মানে না ইসলাম।

সাতটি বিয়ে করার কারণ হিসাবে মিডিয়াকে রবিজুল বলেন, আসলে ছোটবেলায় আমার নাকি একটা সমস্যা ছিল। এদিকে আমি ছিলাম বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তাই আমার মায়ের ধারণা হয়েছিল সাতটি বিয়ে করলে আমার আর কোন সমস্যা থাকবে না। তাই আমার মা ‘মানত’ করেছিলেন যে, ছেলে বেঁচে থাকলে ৭টি বিয়ে করাবেন। তাই মায়ের সখ পূরণ করতে গিয়ে আমি একে একে ৭টি বিয়ে করেছি।

রবিজুলের সব স্ত্রী একই বাড়িতে থাকেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কি কোন ঝগড়াঝাটি হয় এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না। সাত স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার। স্ত্রীরা আদর-যত্ম করে। তারা খুব ভালোবাসে। আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা সবাই খুশি। সাত স্ত্রী-ই খুব ভালো।’

রবিজুলের কথার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে মিডিয়া তার এক স্ত্রীর সাথে আলাপ করেন। সাক্ষাৎকারে রবিজুলের একজন স্ত্রী রুবিনা জানান, আমরা সাত বোনের মতো। আমরা সারা দিন মিলেমিশে সংসারের কাজ করি। সবার সঙ্গে সবার ভালো সম্পর্ক। বোনের মতো এক বাড়িতে বসবাস করি। কেউ কাউকে হিংসা করে না। কেউ কম কাজ করল বা বেশি কাজ করল, তাতে কিছু যায়-আসে না। আমরা জেনেশুনে বিয়ে করেছি। আমাদের মন খারাপ হয় না। আমাদের স্বামীও খুবই ভালো মানুষ।

এত বিয়ে কিভাবে করলেন জানতে চাইলে রবিজুল বলেন, খোঁজ-খবর নিয়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি। তিনি জানান,  ‘১৯৯৯ সালে রুবিনাকে বিয়ে করি। তার ঘরে ২জন ছেলে রয়েছে। এরপর লিবিয়ায় থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করি। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করি। তার এক মেয়ে আছে। এক বছর আগে স্বপ্নাকে বিয়ে করি। তিন মাস আগে বানুকে, আড়াই মাস আগে রিতাকে এবং দুই মাস আগে মিতাকে বিয়ে করেছি। এখন সব মিলিয়ে ৫ সন্তান আছে ।’

কিভাবে সাতজন স্ত্রী নিয়ে একই ছাদের নিচে বসবাস করার অনুভূতি জানতে চাইলে রবিজুল বলেন, ‘এরা একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে, সংসার করে। পরস্পর আপন বোনের মতো সম্পর্ক সবার। কখনো ঝগড়াঝাঁটি করে না। সবাই খুবই ভালো ‘

এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, রবিজুল ইসলাম ৭টি বিয়ে করেছেন। সাত বউ নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সাত বউ মিলেমিশে সংসার করেন। এলাকার মানুষ তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা ভালোই আছেন।

রবিজুলের ৭ স্ত্রীরা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)। কিশোরগঞ্জ জেলার হেলেনা খাতুন (৩০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার স্বপ্না (৩০), চুয়াডাঙ্গার জেলার বানু আক্তার (৩৫)।

৭ জন স্ত্রী ও ৫জন সন্তানের দেখাশোনার জন্য রবিজুলের কাজকর্ম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মিডিয়াকে জানান, বর্তমানে আমার একটি ড্রাইভিং শেখানোর সেন্টার আছে। এ ছাড়া কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। আমি গাড়ি চালাই এবং গাড়ি চালানো শেখাই। আমি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলাম। ২ বছর আগে দেশে এসেছি। এখন গাড়ি চালানো ও গাড়ি চালানো শিখিয়ে যা পাই, আগের বিদেশের জমানো টাকা এসব মিলিয়ে বেশ ভালই আমার সংসার চলে যায়।