ভ্রমণ কর বাড়িয়েছে থাইল্যান্ড সরকার
কোভিড সংক্রমনের কারণে প্রায় দুই বছর পর্যটন খাতে লোকসান দিয়েছে থাইল্যান্ড। মহামারির প্রকোপ কমে আসলে সেখানকার পর্যটন খাত আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এবার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভ্রমন কর বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে থাই সরকার। যা আগামী ১ জুন থেকে কার্যকর হবে।
থাইল্যান্ডের পর্যটনমন্ত্রী ফিফাত রতচকিতপ্রকর্ণের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছেন, যারা আকাশ পথে থাইল্যান্ড ভ্রমণ করবেন তাদের দিতে হবে ৩০০ বাথ বা ৯ ডলার। অন্যদিকে যারা স্থল ও সমুদ্র পথে সেখানে যাবে তাদের দিতে হবে ১৫০ বাথ। মঙ্গলবার দেশটির মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
যারা দিনে এসে দিনে চলে যাবেন, তাদের এবং ট্রানজিট যাত্রীদের এই কর দিতে হবে না, যেমন দিতে হবে না দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের।
এ ছাড়া যে বিদেশি নাগরিকেরা থাইল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের অনুমতি নিয়ে আসবেন এবং যারা কূটনৈতিক ও দাপ্তরিক পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন, তারাও ছাড় পাবেন। তবে থাইল্যান্ড ত্যাগ করার সময় যে প্রস্থান কর দিতে হয়, তার সঙ্গে এই করের সম্পর্ক নেই। প্রস্থান কর মূলত বিমানভাড়ার সঙ্গে যোগ করা থাকে। তবে সব বন্দরে এই প্রস্থান কর এক নয়। ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর দিয়ে থাইল্যান্ড ত্যাগের সময় পর্যটকদের ৭০০ বাথ দিতে হয়। এটাই সর্বোচ্চ।
ফিফাত বলেন, নতুন করে করারোপ করার মাধ্যমে থাই সরকার এই বছরই ৩৯০ কোটি থাই বাথ আয় করবে। তবে এর আওতায় পর্যটকদের ইনস্যুরেন্স অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অর্থাৎ স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা ও দুর্ঘটনারকবলে পড়লে পর্যটকদের সহায়তা করবে দেশটি। ২০২২ সাল থেকে থাইল্যান্ড কোভিডজনিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়। কোভিডের সময় নিয়ম করা হয়েছিল, থাইল্যান্ড ভ্রমণ করতে ১০ হাজার ডলারের স্বাস্থ্যবিমা থাকতে হবে।
করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করার পরই থাইল্যান্ডে পর্যটকদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। দেশটিতে রয়েছে সমুদ্রসৈকত, মন্দির ও জাতীয় পার্ক। যেগুলো দেখতে প্রতিদিন শতশত পর্যটক সেখানে ভীড় করে। ধারণা করা হচ্ছে এ বছরই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে তিন কোটি লোক ভ্রমণ করবে, যা গত বছরের এক কোটির থেকে অনেক বেশি।