‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ পেলেন শিল্পী শীলা মোমেন

‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ পেলেন শিল্পী শীলা মোমেন

রবীন্দ্র-গবেষণায় ভূমিকার স্বীকৃতিতে বাংলা একাডেমির এ বছরের ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ পেয়েছেন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা শিল্পী শীলা মোমেন। 

সোমবার শীলা মোমেনের হাতে ‘রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৩’– এর সনদ, সম্মাননা-স্মারক ও পুরস্কারের অর্থমূল্যের চেক তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। 

রবীন্দ্র সাহিত্যের গবেষণা ও সমালোচনা এবং রবীন্দ্রসংগীতের আজীবন সাধনার স্বীকৃতিতে ২০১০ সাল থেকে বাংলা একাডেমি এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। 

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শীলা মোমেন বলেন, “বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কারপ্রাপ্তি এক জীবনের অনন্য অর্জন। রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করে তাকে অন্বেষণ করে চলেছি; এ অন্বেষণের যেন কোনো শেষ নেই, আছে আনন্দধারায় অনন্ত অবগাহন।”

‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ পেলেন শিল্পী শীলা মোমেন

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মজয়ন্তীতে একক বক্তৃতা, রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৩ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি।  

বেলা ১১টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনের ওই অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক নূরুল হুদা। একক বক্তৃতা দেন রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।

বাংলা একাডেমির উপপরিচালক কাজী রুমানা আহমেদ সোমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহিদুল ইসলাম ও সায়েরা হাবীব। রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন বুলবুল ইসলাম ও কমলিকা চক্রবর্তী।
 
মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, “রবীন্দ্রনাথ আমাদের শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গলের বাতিঘর। আমরা রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য এবং জীবন থেকে পাই সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এবং ঋদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয় প্রেরণা।”

রবীন্দ্রনাথ আগাগোড়া একজন স্বনির্মিত মানুষ বর্ণনা করে একক বক্তৃতায় অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন বলেন, “রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে জমিদারতন্ত্রের মিথ আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। কিন্তু তিনি পারিবারিক ব্যবসায়ের সূত্রে পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এসেছেন। এসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের চেষ্টা যেমন করেছেন তেমনি পূর্ববঙ্গের এই সাধারণ মানুষই তার সাহিত্যকে দান করেছে নতুন গতিপথ।”

‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ পেলেন শিল্পী শীলা মোমেন

সভাপতির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, “রবীন্দ্রনাথ আমাদের ব্যক্তিগত এবং জাতীয় জীবনজুড়ে ব্যাপ্ত আছেন। তার চিন্তা ও মানবিক আদর্শ আমাদের চলার পথকে কুসুমাস্তীর্ণ করে, আলোকের ঝর্ণাধারায় হাত ধরে নিয়ে চলে।”