নাম তার আব্দুল আলী বেপারি, মনোনয়ন বাতিলে কেঁদে গড়াগড়ি !

নাম তার আব্দুল আলী বেপারি, মনোনয়ন বাতিলে কেঁদে গড়াগড়ি !

নাম তার আব্দুল আলী বেপারি। স্বতন্ত্র এম পি পদে মনোনয়ন বাতিলের পর কেঁদে গড়াগড়ি ! মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরী গ্রামে তার বাড়ি। রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ বিচিত্র কান্ড ঘটান আব্দুল আলী বেপারি।

মানিকগঞ্জের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুর রহমান মিয়া বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাইলে প্রার্থীকে তার পক্ষে এলাকার এক শতাংশ ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। আব্দুল আলী বেপারী স্বাক্ষর জমা দিলেও তা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে তার ১০ জন ভোটার যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে ৮ জনই ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। তিনি চাইলে এ বিষয়ে আপিল করতে পারেন। এরপর বেপারী, ধীরে ধীরে ফিরে যান বাড়ি।

কান্নাকাটির বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল আলী বেপারীসংবাদ মাধ্যমে  বলেন, ‘আমি এখন আমার ভোটারদের মুখ দেখামু কী করে। আমি আর বাঁচুম না। আমি ভোট দিতে না পারলে মরুম, আমার জীবন রাখুম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন, আমার ভোট আমাকে দিয়ে যেন মরতে পারি। আমার বিশ্বাস আছে, মানুষ আমাকে ভোট দিবে। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাইতে চাইছিলাম।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুল আলী বেপারি একসময় ইঞ্জিনচালিত ট্টলার চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিছুদিন রাজধানীতে ইট-বালুর ব্যবসা করেছেন। পরে এলাকায় ফিরে কৃষিকাজ করেন। এটিই এখন তার পেশা। তিনি সিংজুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ সালে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রতিবারই জামানত হারিয়েছেন।

নির্বাচনে আসার পেছনেও রয়েছে গল্প। স্থানীয় এমপির ওপর ক্ষোভ আর রাগ থেকেই তিনি নির্বাচন শুরু করেন। যতোদিন তিনি বেঁচে থাকবেন, ততোদিন নির্বাচনে অংশ নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে আব্দুল বেপারী বলেন, বিএনপি সরকারের সময় একবার এমপির কাছে গিয়েছিলাম। তাকে বলেছিলাম, আপনার বাড়িতে টয়লেটের রাস্তা আছে, কিন্তু আমাদের বাড়ির রাস্তা নেই। তখন এমপি উত্তর দিয়েছিলেন ‘কিছু একটা হইয়া আইসো, এইভাবে চিনি না।’ তখন থেকেই মনে মনে চিন্তা করি কিছু একটা হতে হবে। বাড়ি এসে নির্বাচন করার চিন্তা করি। সেই থেকে শুরু ইলেকশনে দাঁড়াবার এ ব্যাপারটা।