উপনির্বাচন: চট্টগ্রাম-৮ আসনে ভোটগ্রহন চলছে
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ১৯০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৪১৪টি কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে নোমান নোমান আল মাহমুদ, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপির কামাল পাশা এবং একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী মাঠে রয়েছেন।
এবারের উপ-নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। এ কারণে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার সময় থেকে এ পর্যন্ত তেমন কোনো ধরনের উত্তেজনা ছিল না। জয় নিশ্চিত জেনে ভোটার কাছে গিয়ে তেমন গণসংযোগ করেননি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। দলীয় মনোনয়ন পেয়েই নেতাকর্মীদের অভিনন্দনের পোস্টার-ব্যানারে ভেসেছেন তিনি। অন্যান্য প্রার্থীর গণসংযোগও তেমন দেখা যায়নি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন ও নারী ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো ধরনের অভিযোগও আসেনি। নির্বাচনে পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি জুডিশিয়াল এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। আশা করি শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্বাচন শেষ হবে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরে আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট ইসিতে এলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে কমিশন।
এ আসনটি এর আগেও একবার শূন্য হয়েছে ২০১৯ সালে। মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পরে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।